জগন্নাথপুর ভিউ ডেস্কঃ
আজকের বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে সাংবাদিকদেরও নেক ভূমিকা ছিল। ছাত্র আন্দোলন চলাকালে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। সাংবাদিকদের কারণেই তখন আমরা ঘরে বসে দেশের খবর জানতে পেরেছি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। বুধবার বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম: মিথ্যা তথ্য, অপতথ্য ও ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ক কর্মশালায় তথ্য সচিব এসব মন্তব্য করেন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্যদের জন্য জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রায় ৬০জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গণমাধ্যম কর্মীদের ইতিবাচক পরিবর্তনের অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি জনমত গঠনে গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে অগ্রাধিকার দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তথ্য মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডিআরইউ’র সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। বিশেষ করে ফ্যাক্ট চেক প্রশিক্ষণ সব সাংবাদিকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা একটি ভুল নিউজ রাষ্ট্র ও সমাজকে বড় ধরনের বিপদে ফেলে দিতে পারে। তথ্য-প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম মোল্লা বলেন, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিক। কিন্তু রাষ্ট্র প্রশিক্ষিত সাংবাদিক গড়ে তুলতে ততটা মনোযোগী নয়, যতটা হওয়া দরকার। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য ডিআরইউ তথা দেশের সব সাংবাদিকের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির সদস্য এবং দৈনিক মানবজমিন’র প্রধান বার্তা সম্পাদক সাজেদুল হক এবং বার্তা সংস্থা এএফপি’র ফ্যাক্ট চেক এডিটর কদরুদ্দীন শিশির। ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো. মারুফ নাওয়াজ-এর সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণার্থীরাও বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেন। আলোচকগণ যে কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া শেয়ার না করার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর জোর দেন এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ সকলের অংশগ্রহণে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। একই সঙ্গে সাংবাদিকদের নিউজ সেন্স বাড়ানোর জন্য পড়াশোনার আহ্বান জানান। কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য রফিক মৃধা।
কার্যালয়ঃ ডাকবাংলো রোড, জগন্নাথপুর আ/এ, জগন্নাথপুর পৌরসভা, জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ।
যোগাযোগ : (মোবাইল ও হোয়াটস্অ্যাপ) 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟏𝟏𝟎𝟒𝟒𝟒𝟖, 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟔𝟎𝟐𝟑𝟏𝟒𝟎, 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟖𝟎𝟎𝟔𝟔𝟕
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত