নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মসজিদ কমিটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট হয়। অতঃপর অতর্কিত হামলার ঘটনায় এক বৃদ্ধ নিহত হন। নারী-পুরুষ ও সালিশি ব্যক্তিসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন। নিহত ব্যক্তি সুজাত উল্লাহ (৮০)। তিনি উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মৃত আমান উল্লাহ'র ছেলে। আহতদের মধ্যে কয়েক জনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেটে এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া কয়েকজন জগন্নাথপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার রানীগঞ্জ- পাইলগাঁও ইউনিয়নের বাগময়না-তাজপুর, রসুলপুর গ্রামের মধ্যস্থানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল জামে মসজিদ ও মরহুম হাজী মো. খুশি মিয়া হিফজ শাখার পরিচালনা কমিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে বাগময়না ও তাজপুর গ্রামের মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়াসহ প্রায় ৩ শতাধিক লোক জড়ো হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অপর পক্ষের সুজাত উল্লাহের লোকজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা আত্নরক্ষার জন্য প্রতিরোধ গড়ে তুললে প্রায় এক ঘন্টা ব্যাপী সংর্ঘষে আমান উল্লাহের ছেলে সুজাত উল্লা (৮০), সুজাত উল্লাহের ছেলে সেফুল মিয়া (৪০), রেকুল মিয়া, সেকুল মিয়া, সেজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, আব্দুল আমিন, মমিন মিয়া, তছর মিয়া, টুনু মিয়া, মামুন মিয়া, শামিম মিয়া, ইমন মিয়া, রিনা বেগম, আব্দুল মহিম, কাজল মিয়া, নোয়াগাঁও নোয়াপাড়া গ্রামের আহাদ মিয়ার ছেলে শাহেদ মিয়া সহ প্রায় ২০ জন আহত হন। অপরদিকে, মোল্লা আব্দুল আজিরের পক্ষের মজিদ মিয়ার ছেলে আনোয়ার মিয়া আহত হয়েছে। এছাড়া সংর্ঘষ থামাতে শালিসি ব্যক্তি হাফিজ উদ্দিন, ফারুক মিয়া, হাফিজ শামিম মিয়া, জামান উল্লাহ মুক্তার, আব্দুল নুর মিয়া, খালেদ মিয়া সহ আরো অনেকেই আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে গুরুতর আহত বৃদ্ধ সুজাত উল্লাহকে জগন্নাথপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে দায়িত্বরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই সজিব মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংর্ঘষ নিয়ন্ত্রনে আনেন।
এ ব্যাপারে নিহত সুজাত উল্লাহ'র ছেলে গুরুতর আহমদ সেকুল মিয়া বলেন, মসজিদ কমিটি ফেসবুকে পোষ্ট নিয়ে মোল্লা আব্দুল আজিরের নেতৃত্বে আব্দুল কাছ, রশিদ উল্লা, মজিদ মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলায় আমার বাবা নিহত হন।
এছাড়াও আমিসহ আমার অন্যান্য ভাইয়েরা গুরুতর আহত হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান আখন্দ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসজিদ কমিটির পোষ্ট নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিকে পোস্টমর্টেম এর জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পেলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কার্যালয়ঃ ডাকবাংলো রোড, জগন্নাথপুর আ/এ, জগন্নাথপুর পৌরসভা, জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ।
যোগাযোগ : (মোবাইল ও হোয়াটস্অ্যাপ) 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟏𝟏𝟎𝟒𝟒𝟒𝟖, 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟔𝟎𝟐𝟑𝟏𝟒𝟎, 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟖𝟎𝟎𝟔𝟔𝟕
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত