আমিনুল হক সিপনঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা রাতের আধাঁরে এসব বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ইলেকট্রিক সামগ্রী, পানি সাপ্লাইয়ে ব্যবহৃত মটরসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও আসবাবপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এরমধ্যে একটি বিদ্যালয়ে একাধিকবার চুরির ঘটনা ঘটে। এমন ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি ও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার শেরপুর গ্রামস্থ হাজী আব্দুর রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি সংঘটিত হয়। এর আগে গত ৩ মাসে উপজেলার সিরামিশি, মিরপুর, কচুরকান্দি, মিনহাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। গত অক্টোবর মাসে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের ছিরামিশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের ১৪টি তালা ভেঙে ১২টি সিলিংফ্যান ও দুটি ল্যাপটপসহ মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি হয়।
সম্প্রতি হাজী আব্দুর রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জ্যোতি রানী সেন জানান, গত বছরের প্রারম্ভিক থেকে এপর্যন্ত আমাদের বিদ্যালয়ে ৩ দফা চুরি সংঘটিত হয়। গত ১৩ নভেম্বর চোরেরা রাতের আধাঁরে ওয়াশব্লকের কেছিগেইটের তালা ভেঙে স্টিলের ৭টি পানির ট্যাপ চুরি করে নিয়ে যায়। এর আগে চলতি বছরের ৭ নভেম্বর ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের তালা ভেঙে পানির মোটর চুরি করে নিয়ে যায়। গত বছর একই বিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীও চুরি হয়।
ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা আরো জানান, হাজী আব্দুল রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েক বছরের মধ্যে কয়েকবার চুরি সংগঠিত হয়। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি ও অভিযোগ দায়ের করি।
জগন্নাথপুরের সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাহ বলেন, গত ৩ মাসের মধ্যে উপজেলার সিরামিশি, কচুরকান্দি, মিনহাজপুর ও সর্বশেষে হাজী আব্দুর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি সংঘটিত হয়। এমতাবস্থায় প্রধান শিক্ষক আমাদের লিখিত অবগত করলে আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই। এছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, সম্প্রতি একটি বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।