নিজস্ব প্রতিবেদক ::
এনআইডি জালিয়াতি ও ভোটারদের বায়োমেট্রিক তথ্য বিকৃত করে অবৈধভাবে নিবন্ধনের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুরের সেই নির্বাচন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত দুজনকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার রাতে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের তদন্তে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলমের দুর্নীতির সঠিক তখ্য প্রমাণ মিলে। পরে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
জগন্নাথপুর খানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্দেশনায় নির্বাচন কমিশনের উপপরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মোঃ তকদির আহমেদ এবং সহকারী প্রোগ্রামার (তথ্য ব্যবস্থাপনা) আমিনুল ইসলাম জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গোপন তদন্তে নামেন। তদন্তকালে সার্ভারের ডাটাবেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, প্রবাসে অবস্থানরত সাদিকুর রহমান, তানভীর হাসান ও মোহাম্মদ লিটন আহমেদ-এর নামে একাধিক এনআইডি তৈরির জন্য জালিয়াতি করা হয়েছে। এছাড়া ভোটারদের বায়োমেট্রিক তথ্য (ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যান) বিকৃত করে অবৈধভাবে নিবন্ধন করা হয়েছে। এই জালিয়াতিতে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো: মুজিবুর রহমান এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলমকে থানায় আটক করে নিয়ে যায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে আটককৃত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর জুবায়ের আলম, সাদিকুর রহমান, তানভীর হাসান ও মোহাম্মদ লিটন আহমেদ-এর বিরুদ্ধেও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন ২০১০ এবং ভোটার তালিকা আইন ২০০৯-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, সুনামগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দুই কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আমরা আদালতে প্রেরণ করি। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।