1. info@jagannathpurview.online : জগন্নাথপুর ভিউ : জগন্নাথপুর ভিউ
  2. info@www.jagannathpurview.online : জগন্নাথপুর ভিউ :
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "জগন্নাথপুর ভিউ" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :

জগন্নাথপুরে সেচের অভাবে বোরো চাষ ব্যাহত

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৮ বার পড়া হয়েছে

 

আমিনুল হক সিপনঃ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পর্যাপ্ত সেচের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে হাওরের বোরো চাষাবাদ। অনেক জমিরই মাটি শুকিয়ে ফেটে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। ফসলের মাঠের মত তাদের স্বপ্নও যেন ফেটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের। এমন অবস্থায় সব চেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বর্গা চাষিরা।

কৃষকরা জানিয়েছেন, হাওরবেষ্টিত জগন্নাথপুরের প্রধান ফসল হলো বোরো ধান। বোরো আবাদ পুরোটাই সেচনির্ভর। পানির অভাবে বোরো আবাধ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেচের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে বোরো আবাদ। অথচ আগে এ সময়টায় ধানক্ষেতের পাশেই নালা-ডোবা পানিতে থাকত টইটম্বুর। এ পানি দিয়েই বোরো ক্ষেতে সেচ দিতেন কৃষক। কিন্তু উন্মুক্ত জলাশয়গুলোও শুকিয়ে যাওয়ায় হাওরে পর্যাপ্ত পানি নেই। সেচ প্রকল্পের অব্যবস্থাপনা ও খাল-বিল এখন পানিশূন্য থাকায় সময়মতো চারা রোপণ করতে পারছেন না কৃষক। এছাড়া সেচ পাম্পের দাম বেশি হওয়ায় ও হাওরের ডোবা-নালায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। নদী ও খালগুলো দ্রুত খনন ও পরিষ্কার করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন

হাওরের কৃষকরা। উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার ৪শ’ ২৩ হেক্টর জমি। এর মধ্যে হাইব্রিড ধান ৯ হাজার ৬শ’ ৫৫ হেক্টর, উচ্চ ফলনশীল ধান ১০ হাজার ৭শ’ ৬৮ হেক্টর ও স্থানীয় প্রজাতির ধান ৭০ হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে। মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ইতিমধ্যে ২০ হাজার ১৪ হেক্টর আবাদ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

সরেজমিনে নলুয়ার হাওর ও মই হাওরে গিয়ে দেখা যায়, বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। কিন্তু সেচের অভাবে বোরো চাষে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। কিছু কিছু জায়গায় ইঞ্জিন (পাম্প) বসিয়ে সেচ দেওয়া হলেও তা ব্যয়বহুল বলে জানিয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ছোট ছোট ডোবা ও নদী থেকে পানি নিয়ে এসে সেচ দিচ্ছেন তারা। কিন্তু এই সেচ পর্যাপ্ত না বলে জানিয়েছেন কৃষক।

নলুয়ার হাওরের কৃষক বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘জগন্নাথপুর উপজেলার প্রধান শস্য ভাণ্ডার নলুয়ার হাওরে বোরো ধান লাগিয়েছি কিন্তু পানির সংকট খুব বেশি। পানির সংকটের কারণে আমার ৫ কেদার জমি নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিকমতো পানি যদি না পাই তাহলে চারাগুলো বড় হবে না। দ্রুত পানির ব্যবস্থা করা না গেলে ধানগাছ বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হবে। মেশিন দিয়ে পানি দেওয়ার সামর্থ্য আমার নাই।’

মই হাওরে ১৪ কেয়ার জমিতে বোরো ধানের চাষাবাদ করেছেন জগন্নাথপুর পৌরসভার ইকড়ছই এলাকার বর্গাচাষী কাচা মিয়া। তিনি বলেন, ‘হাওরে পানির অভাবে মেশিন দিয়ে এখন পানির সেচ দিচ্ছি। কিন্তু মেশিনের ক্ষেত্রে আমাদের যা খরচ হয় তা অনেক বেশি। যদি ধান ভালোমতো হয়ও তবুও লাভের মুখ দেখবো না। হাওরে পানি নাই। তাই আমাদের সেচই একমাত্র ভরসা।’

জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ জানান, হাওরের পানি তাড়াতাড়ি নিষ্কাষিত হওয়ায়’ কৃষকদের বোরো ধান রোপণে একটু সমস্যা হচ্ছে। অন্যবছর এমন সময়ে একটু হলেও বৃষ্টি হয়। তাই বোরো আবাদের জন্য প্রকৃতির উপর আমাদের কিছুটা নির্ভর করতে হবে, প্রকৃতি যদি সদয় থাকে এই সমস্যা কাটিয়ে উঠা সম্ভব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© জগন্নাথপুর ভিউ
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট