নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
গত ৪ দিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নদ- নদীর পানি বাড়ছে। তবে রবিবার পর্যন্ত পানি বিপদসীমার ৯৪ সে.মি নিচে রয়েছে। উজান থেকে পানি নামলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে স্থানীয় পাউবোর কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে।
জগন্নাথপুর পাউবো কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুরের নলজুর নদীতে রোববার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৬.৫৬ সে.মি লেভেল পানি ছিল। যা বিপৎসীমার চেয়ে ৯৪ সে.মি নিচে। জগন্নাথপুরে নলজুর নদীর পানি বিপৎসীমা ধরা হয়েছে ৭.৫০ মিটার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত কুশিয়ারা, নলজুর, ডাউকি, ইটাখোলা, কামারখালসহ অন্যান্য নদ-নদীতে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ছে। পৌরশহরের হাশিমাবাদে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া উপজেলার নিচু স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মানুষের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। নদী পাড়ের লোকজনের মধ্যে বন্যা আতংক বিরাজ করছে।
নলুয়া হাওর ব্যষ্টিত চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, হাওর ও নদীতে বাড়লে এখনও আশঙ্কাজনক নয়। তবে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বন্যা মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতির নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তৎপর আছি।
জগন্নাথপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারি প্রকৌশলী (এসও) সবুজ কুমার শীল বলেন, জগন্নাথপুর উপজেলার নদ-নদীর পানি এখনও বিপদসীমার নিচে আছে। তবে উজান থেকে পানি নেমে আসলে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ বলেন, গত ৪ দিনের বৃষ্টিতে জগন্নাথপুরে নদ নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। এ উপজেলায় বিপদসীমা অতিক্রম না করলে ও বন্যা মোকাবেলায় তৎপর আছি।
কার্যালয়ঃ ডাকবাংলো রোড, জগন্নাথপুর আ/এ, জগন্নাথপুর পৌরসভা, জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ।
যোগাযোগ : (মোবাইল ও হোয়াটস্অ্যাপ) 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟏𝟏𝟎𝟒𝟒𝟒𝟖, 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟔𝟎𝟐𝟑𝟏𝟒𝟎, 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟐𝟖𝟎𝟎𝟔𝟔𝟕
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত