আমিনুন হক সিপন ::
পবিত্র রমজান মাস ঘনিয়ে আসলে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় ভোজ্যতেল। কৃত্রিম উপায়ে ভোজ্য তেলের তীব্র সংকট সৃষ্টি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীর। রমজানের আসে হঠাৎ করে বাজার থেকে সোয়াবিন তেল উধাও হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জগন্নাথপুর পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাওয়ার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা দোকানগুলোতে ভোজা তেলের তীব্র সংকট। তবে কিছু কিছু দোকানে পাম সীমিত পামওয়েল দেখা যায়।
জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, ডিলাররা চাহিদানুযায়ী তেল সরবরাহ না করার কারণে এমন দুরাবস্থা।
জানা গেছে অধিক মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম উপায়ে বাজারে তেলের তীব্র সংকট সৃষ্টি করেছেন।
তবে লিটার প্রতি নির্ধারিত মূলা থেকে ২০/৩০ টাকা বেশি মূল্য দিলে সোয়াবিন তেল মাঝেমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান ক্রেতারা। এমনকি পামওয়েল ১০/১৫ টাকা বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন। এ নিয়ে প্রায়ই ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
জগন্নাথপুর বাজারে নিতাপণ্য ক্রয় করতে আসা শাহ ফুজায়েল আহমেদ বলেন, চলতি রমজানের ২/৩ দিন আসে পণ্য সহনশীল ছিল। এমনকি বাজারে তেলের সংকট ছিল না। কিন্তু রমজান ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে হঠাৎ করে পণ্যর দাম বেড়ে যায়। এমনকি সোয়াবিন তেল রাজ্যের থেকে উধাও হয়ে যায়।
আরেক ক্রেতা সিরাজ মিয়া বলেন, রমজানে বাজার থেকে ভোজ্যতেল উধাও হওয়ায় আমরা নিম্নআয়ের মানুষ খুবই ভোগান্তিতে আছি।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বরকত উল্লাহ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অসাধু ব্যবসায়ী রুখতে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত তৎপর আছে। কারো বিরুদ্ধে ভোগ্যতেল মামুদ কিংবা পাচারের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।