নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় নারীসহ ২ জনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জসিম হোসেন, নাজমিন বেগম।
মঙ্গলবার তাদের সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের শ্রীরামসি রসুলপুর নিবাসী মৃত মোহাম্মদ আছদ্দর আলীর পুত্র মোহাম্মদ আবুল হাসান স্বপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। অভিযুক্তরা তার আপন ভাই মৃত মকবুল হোসেন এর পুত্র মিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন, মিরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা জয়নাল হোসেন, স্ত্রী রিনা বেগম পরি, মেয়ের জামাই জগন্নাথপুর পৌরসভাধীন ইসহাকপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সত্তার ডুমাই এর পুত্র আব্দুল আলী গং। অভিযোগে মোহাম্মদ আবুল হাসান উল্লেখ করেন, তিনি যুক্তরাজ্যে থাকায় তার অবর্তমানে মিটু মিয়া ও মোঃ পিয়ার আলী নামক জনৈক ব্যক্তি বসতবাড়িসহ জায়গা জমি দেখাশোনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। কিন্তু তার ভাতিজা, ভাইয়ের স্ত্রীসহ অভিযুক্তরা বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য হুমকি ধমকি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩ টায় তারা প্রবাসী মোহাম্মদ আবুল হোসাইন এর উঠোনে গিয়ে পিয়ার আলীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে আহত করে তার একতলা পাকা বিল্ডিংয়ে প্রবেশ ও ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী আবুল হাসান লন্ডনে বসবাস করে আসছেন তাদের বাড়িঘর সবকিছু দেখাশোনা করেন মিটু মিয়া ও পিয়ার আলী নামের একজন। আবুল হাসান দেশে আসার খবর পাওয়ায় তার ভাতিজারা তার একতালা ভবন দখল করে। প্রবাসী আবুল হাসান দেশে এসে দেখেন তার বসত ঘরে তার ভাতিজারা দখল করে রেখেছে পরে এই প্রবাসীকে তার ভাতিজারা প্রবাসীকে এক রুমে জিম্মি করে রেখে বড় অংকের টাকা দাবি করে, পরবর্তীতে তাদের সাথে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাদের কাছ থেকে রক্ষা পায়।
এই ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে। বাকী আসামী পলাতক।
জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঞা বলেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মোহাম্মদ আবুল হাসানের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করে আমরা ঘটনার সত্যতা পাই। পরে আমরা নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করি।